সর্বশেষ সংবাদ
গত ২০ অক্টোবর দৈনিক ইনকিলাবের শেষ পৃষ্ঠায় ‘শেরপুর সিজিএম কোর্টে নয় পদে জনবল নিয়োগে গোপনীয়তা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম হুমায়ন কবীরকে আইন মন্ত্রনালয়ে স্ট্যান্ড রিলিজ করে প্রজ্ঞাপন করা হয়েছে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) শেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাদল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৭ নভেম্বর আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপ-সচিব (প্রশাসন-১) মোহাম্মদ ওসমান হায়দার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ ঘটনার একদিন গত ৮ নভেম্বর শেরপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদে মুহাম্মদ ছালামত উল্লাহকে বদলীকৃত পদে দায়িত্ব দিয়েছেন শেরপুরের জেলা ও দায়রা মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি শেরপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে বেঞ্চ সহকারী, ক্যাশ সরকার, জারিকারক, অফিস সহায়কসহ ১২টি পদে জেলা ও দায়রা জজসহ উর্ধ্বতন মহলকে পাশ কাটিয়ে জনবল নিয়োগের অভিযোগ উঠে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম হুমায়ন কবীরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগসহ নিয়োগের বৈধতা দিতে জেলা ও দায়রা জজসহ উচ্চ পর্যায়ে নানা তদবিরসহ লিগ্যাল নোটিশের ঘটনা ঘটে। ফলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গুঞ্জণ উঠেছে- মূলত জনবল নিয়োগে কেলেঙ্কারির ঘটনার জের ধরেই এস.এম হুমায়ন কবীরকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, এ ঘটনায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হলেও একই ঘটনায় অভিযুক্ত আদালতের নাজির মো: সাইফুল ইসলামসহ একটি সিন্ডিকেট এখনো বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে। এই অবস্থায় কেলেঙ্কারীর নিয়োগ বাতিলসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।