ঢাকা   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Image Not Found!

সর্বশেষ সংবাদ

  আ.লীগ সমর্থককে জোর করে লিফলেট দিচ্ছে বিএনপি নেতারা (রাজনীতি)        স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে নাহিয়ানের, ফেব্রুয়ারিতে উৎক্ষেপণ হবে রকেট (বাংলাদেশ)        নির্বাচন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের (জাতীয়)        ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সবাই আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে:রিজভী (জাতীয়)        আপিলে এ পর্যন্ত প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ১৬৮ জন (জাতীয়)        প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গণভবনে রওশন এরশাদ (জাতীয়)        মেজর হাফিজকে বিদেশ যেতে দেয়নি সরকার (জাতীয়)        ভয়ংকর টর্নেডোয় তছনছ টেনেসি, নিহত কমপক্ষে ৬ (জাতীয়)        ২০০৯ সালের পরে শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছেন : ওবায়দুল কাদের (জাতীয়)        অবরোধের সমর্থনে গুলশানে শ্রাবণের নেতৃত্বে মশাল মিছিল (জাতীয়)      

দায়মুক্তির সাথে শিশুদের বিষ খাওয়াচ্ছে ভারতের ওষুধ নির্মাতারা

Logo Missing
প্রকাশিত: 03:24:36 pm, 2023-09-14 |  দেখা হয়েছে: 1 বার।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরের ঘটনা। অধিৃকত কাশ্মীরে জাফর দীনের দুই মাস বয়সী ছেলে ইরফান কাশি এবং জ্বরে ভুগছিল। জাফর কাছের ফার্মেসিতে থেকে কোল্ডবেস্ট-পিসি নামের এক বোতল ওষুধ কিনে শিশুটিকে একটি ডোজ খাইয়েছিলেন। ঘণ্টা খানেক পর ইরফান বমি শুরু করে। তার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। তাকে জম্মু শহরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক সপ্তাহ পরে, শিশুটি মারা যায়।

 

ভারতের অধিৃকত জম্মু ও কাশ্মীরের উত্তরাঞ্চলের কর্তৃপক্ষ যে ১৬ জন শিশুকে বিষ প্রয়োগ করতে পেরেছিল তাদের মধ্যে ইরফান ছিল একজন। তাদের কিডনি এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অচল হওয়ার পর বারোজন মারা গেছে, পুলিশের একটি চার্জশিট দেখানো হয়েছে; অন্য চারজন গুরুতর প্রতিবন্ধী হয়ে যায়। পুলিশ এবং রাষ্ট্রীয় ওষুধ পরিদর্শকদের তদন্তে ডিজিটাল ভিশন ফার্মার তৈরি ওষুধের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। পারিবারিক মালিকানাধীন ব্যবসাটি প্রতিবেশী রাজ্য হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত, এটি ভারতের ওষুধ শিল্পের কেন্দ্র এবং এশিয়ার বৃহত্তম ওষুধ উৎপাদন কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি।

 

ডিজিটাল ভিশন দ্বারা তৈরি সিরাপগুলির সরকারী বিশ্লেষণ, সেইসাথে ২০২০ সালের প্রথম দিকে কোম্পানির কারখানা এবং এর পরিবেশক থেকে নেয়া নমুনাগুলি থেকে দেখা যায়, এর মধ্যে ৩৪ শতাংশ টক্সিন ডায়থাইলিন গ্লাইকল (ডিইজি) রয়েছে। এটি গাড়ির ব্রেক ফ্লুইডে ব্যবহৃত একটি শিল্প দ্রাবক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে যে, এর নিরাপদ সীমা, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানগুলির উপর ভিত্তি করে, ০.১০ শতাংশের বেশি নয়। ডিজিটাল ভিশনের মালিকদের বিরুদ্ধে চলমান ফৌজদারি মামলার শীট এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ওষুধ নিয়ন্ত্রকের একটি তদন্ত প্রতিবেদন, উভয়ই রয়টার্স দেখেছে। এখনও, জম্মুতে শিশুদের পরিবারের পক্ষ থেকে তীব্র তদবির সত্ত্বেও, কাশির সিরাপ মৃত্যুর জন্য আদালতে এখনও কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি।

 

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, গত এক বছরে ভারতে তৈরি কাশির সিরাপ সেবন করে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্তান, ক্যামেরুন ও গাম্বিয়ায় প্রায় ১৪১ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোন দেশই তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযুক্তরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। শোকাহত বাবা-মা অপেক্ষায় রয়েছেন বিচারের।

 

এদিকে এ বিষয়ে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ফেডারেল ওষুধ নিয়ন্ত্রক এবং সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন রয়টার্সের এ প্রতিবেদনের জন্য মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ভারত, উজবেকিস্তান এবং গাম্বিয়ায় এসব কাশির সিরাপ তিনটি ওষুধ প্রস্তুতকারক– ডিজিটাল ভিশন, মেরিয়ন বায়োটেক এবং মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে কিনেছে। তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানই তা অস্বীকার করেছে।

 

রয়টার্সের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে, তিনটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানই কীভাবে তাদের উৎপাদন কমিয়ে ফেলেছে। রয়টার্স গবেষণা করে দেখেছে যে, ভারতের ডিজিটাল ভিশন এবং ওরিসন ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিষ্ঠার পর থেকে বুকজ্বালা, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অন্যান্য ওষুধ বিষয়ে নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে অন্তত ১৬টি সতর্কবার্তা পেয়েছে। অন্যদিকে, সাতটি ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল এক্সিকিউটিভ এবং নিয়ন্ত্রক রয়টার্সকে বলেছেন, কিছু ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সিরাপ প্রস্তুতের সময় সস্তা, বাণিজ্যিক গ্রেডের উপাদান ব্যবহার করেছে। তবে তারা কোম্পানিগুলোর নাম বলতে সম্মতি জানায়নি।

Image Not Found!
Image Not Found!
Image Not Found!
Image Not Found!
Image Not Found!