সর্বশেষ সংবাদ
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে জনা দশেক নেতাকর্মী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার এলিফেন্ট রোড এবং পরে বেইলি রোডে দোকান কর্মচারী, ফুটপাতের পথচারী এবং রিকশা-অটোরিকশার চালক ও যাত্রীদের হাতে লিফলেট তুলে দেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ অধিকাংশ নিবন্ধিত দল যখন ৭ জানুয়ারি ভোট সামনে রেখে প্রচারে ব্যস্ত, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে।
এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার এক ব্রিফিংয়ে অসহযোগের ডাক দেন রিজভী। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিনি নির্বাচনি দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে বলেন। পাশাপাশি সরকারকে কর, খাজনা এবং বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির বিল পরিশোধ বন্ধ করে দেওয়ার এবং ব্যাংকে আমানত না রাখার আহ্বান জানান।
সেই অসহযোগের পক্ষে প্রচারে নেমে রিজভী ভোটের প্রচারে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “ডামি নির্বাচনের প্রচারে নেমে গতকাল সিলেটে প্রধানমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা হল সন্ত্রাসীদের ভাষা। তিনি সন্ত্রাসীদের ভাষায় হুংকার দিচ্ছেন। এভাবে হুংকার দিলেও ৭ জানুয়ারি জনগণ ভোট দিতে যাবে না, ভোট কেন্দ্রে যাবে না।
“প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনার এত সাহস থাকলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন না কেন? আপনি দেবেন না। কারণ আপনি ভালো করেই জানেন, জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে আপনার জামানতই থাকবে না। রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে ডামি নির্বাচন, নিজেরা নিজেরা নির্বাচনের আয়োজন নিয়ে বাহাদুরি করার কিছু নেই।”
রিজভী বলেন, “৭ জানুয়ারির সাজানো ভাগ-বাটোয়ারার নির্বাচন জনগণ ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই নির্বাচনে ওরা ছাড়া কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবে না।
“আমরা জনসাধারণকে বলব, ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ডামি নির্বাচন বর্জন করুন। কেউ ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্র যাবে না। আপনি নিজেও যাবেন না, অন্যকেও যেতে বারণ করুন।”
তিনি বলেন, “এ নির্বাচন দেশে-বিদেশে কারো কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। কারণ বিদেশিরা দেখছে কীভাবে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ডামি প্রার্থী সাজিয়ে সরকার একটি একতরফা নির্বাচন করছে।
“জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে যারা এই অবৈধ ডামি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, তারা জনগণের কাছে বিশ্বাসঘাতক দালাল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।”
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম এ সময় রিজভীর সঙ্গে ছিলেন।