সর্বশেষ সংবাদ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো না হলেও অন্যভাবে বাংলাদেশের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে লন্ডনে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি।
মার্কিন ভিসানীতির ব্যাপারে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ভিসানীতি আমাদের কিছু করতে পারবে না। ভিসানীতি নির্বাচন কমিশনের কোনো আইন নয়। নির্বাচন কমিশনের আইন আর আমাদের দেশের আইন আমাদের ভোটিং বা যাই বলুন এফেক্ট করতে পারে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে, তার তালিকা আপনাদের কাছে আছে কি না। তাতে আপনার নাম আছে কি না?- এমন প্রশ্নের জবাবে এম এ মান্নান বলেন, ‘আই হ্যাভ নো আইডিয়া (আমার কোনো ধারণা নাই)।’
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মিত্র দেশ আছে, তারা এই পর্যায়ে (ভিসানীতি দেওয়া) যাবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুনেছিলাম প্রথমে আরও দুই-চারটি রাষ্ট্রের ওপর নাকি আছে। আই অ্যাম নট ভেরি ক্লিয়ার (আমি খুব বেশি পরিষ্কার নই)।’
অন্যান্য রাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর দেবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক রাষ্ট্রের একটি কৌশল আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটা..., নামই বলে ফেললাম। তারা হয়তো অন্যদিকে করবে। নট নেসেসারি আমেরিকান ওয়ে (যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়)। যার যার মতো।’
বিএনপিকে নির্বাচনে আনার ব্যাপারে আপনাদের উদ্যোগ আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে এম এ মান্নান বলেন, ‘তাদেরকে আনা না আনার ব্যাপারে আমরা গার্ডিয়ান (অভিভাবক) নই। আমরা তাদের দল সৃষ্টি করি নাই, তারাই তাদের দল সৃষ্টি করেছে। তাদের কর্মসূচি আছে, ম্যানিফেস্টো (ইশতেহার) আছে, অনুষ্ঠান আছে। তাদের আছে, আমাদেরও আছে, অন্যান্য দলেরও আছে। সব দলকে মানতে বাধ্য- সংবিধান, রাষ্ট্র, সরকার।’
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) আসবে, সরকার গঠন করেছে অতীতে। আবার করুক ভোট নিয়ে এসে। কিন্তু সংবিধানকে অবজ্ঞা করে, আইন-কানুন না মেনে, নির্বাচন কমিশনকে অস্বীকার করে এবং বলে, ‘এ থাকলে নির্বাচন করব না, ওমুক প্রধানমন্ত্রী থাকলে আমরা নাই’,- এই ধরনের হঠকারী বক্তব্য কোনো দলীয় বা পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি অথবা গণতন্ত্রের ভাষা না।’