সর্বশেষ সংবাদ
শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর পৌরসভা কার্যালয় সংলগ্ন ও শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া স্কুলে পাশ দিয়ে যাওয়া বটতলা গোপালবাড়ী এলাকার সড়কটি বেহাল। দীর্ঘদিন এই রাস্তার কোনো উন্নয়ন না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
সেই সঙ্গে এ রাস্তার কিছু জমি ব্যক্তিমালিকানার দাবির কারণে অচলাবস্থা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পৌরসভার মেয়রের কাছে লিখিত আবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এর পরে তার কার্যালয়ে কয়েক দফা আলোচনার পরও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, পৌরসভার কার্যালয় সংলগ্ন বটতলা-গোপালবাড়ীর এই রাস্তাটি বছরের পর বছর ধরে অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে।
কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটি ডুবে যায় ও তা দীর্ঘদিন জলাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। এলাকার জমে থাকা বৃষ্টির পানি ছাড়াও বটতলা এলাকার পানি পৌরসভা কার্যালয় সংলগ্ন সামনের ও পেছনের রাস্তা হয়ে এলাকায় প্রবেশ করে দুর্ভোগের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
পানি নিষ্কাশনের কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষার সময় ভারি বৃষ্টি হলে ৭-৮টি বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে তা দীর্ঘ সময় থাকছে।
দীর্ঘ সময় ধরে জলাবদ্ধতার কারণে বাড়িঘরের উঠান ও রাস্তা হাঁটু পানিতে নিমজ্জিত হয়। জলাবদ্ধতা অব্যাহত থাকায় পানিতে মলমূত্র ও ময়লা-আবর্জনা এলাকার হয়ে এলাকায় অস্বাস্থ্যকর নারকীয় অবস্থা সৃষ্টি হয়।
এতে উৎকট দূর্গন্ধ ছড়ায়। বছরের প্রায় অর্ধেক সময় জলাবদ্ধতার কারণে জুতা খুলে হাতে নিয়ে পরনের কাপড় গুটিয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়।
সেই সঙ্গে সাপ, ব্যাঙ, মশা-মাছি, কেঁচোর উপদ্রবে অসহনীয় পরিবেশে চর্মরোগ, ডায়রিয়া ও সর্দি-জ্বর-কাশিসহ নানা রোগে এলাকাবাসীকে কষ্ট ভোগ করতে হয়।
পৌরসভার খুবই কাছে বটতলা-গোপালবাড়ীর প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের ৩শ’ মানুষ পৌরসভার সড়ক ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ সব ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকেন এলাকার মানুষ এ বিষয়টিকে প্রদীপের নিচে অন্ধকার বলে মন্তব্য করেছেন।
জানা গেছে, ওই এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম নজু রাস্তায় তার জমি আছে বলে মালিকানা দাবি করে আসছে। সে বিষয়ে এলাকাবাসী তার কাছ থেকে জমি কিনে রাস্তার জটিলতা দূর করার জন্য আলাপ-আলোচনা করলেও তিনি জমির কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
তাই জমি কিনে রাস্তার সমস্যা সমাধানের সে চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম নজু বলেন, বটতলা গোপালবাড়ীর রাস্তায় আমার জমি আছে এবং আমার কাগজপত্রও রয়েছে। এলাকাবাসী ওই জমি কিনে নিতে চাইলেও তারা আমার কাছে আসেননি।
এ ছাড়া বিষয়টি মীমাংসার জন্য এলাকার কাউন্সিলর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন পৌরসভার মেয়র।
এ ব্যাপারে শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন বলেন, রাস্তার জমির মালিকানা নিয়ে একাধিক দাবিদার থাকার কারণে অনেকবার চেষ্টা করেও বিষয়টি সুরাহা করা যায়নি।
তাই রাস্তার টেন্ডার করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার নবী মোল্লার ভবন পর্যন্ত ড্রেনের কাজের টেন্ডার করা হয়েছে। রাস্তার জমি নিয়ে জটিলতা দূর হলে খুব দ্রুতই রাস্তার ও ড্রেনের কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হবে। এতে ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।